শরীফারা চার ভাই-বোন। তাঁর এবং বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। গত মাসে শরীফার বাবা মারা গেছেন।তাঁর মা বেঁচে আছেন। এখন শরীফার দুই ভাই মিলে বাবার সম্পত্তি নিজেদের নামে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নিতে চান। ভাইয়েরা কিছুতেই বোনদের বাবার সম্পত্তির অংশ দিতে চাচ্ছেন না। বোনেরা তোশ্বশুরবাড়ি থাকেন, তাই বোনকে সম্পত্তি দিতে তাঁদের যত আপত্তি। শরীফার বড় বোন বাবার সম্পত্তিতে কোনো দাবি না করলেও শরীফা কিছুতেই তাঁর প্রাপ্য অংশ থেকে বঞ্চিতহতে চান না। শরীফা এখন কী করবেন?এমন ঘটনা আমাদের চারপাশে দেখাযায়। বোনেরা অনেক সময় বাবার সম্পত্তির অংশ ছাড় দিয়ে দেন।কিন্তু অনেকে অজ্ঞতার কারণে, আবার অনেকে ভাইদের সঙ্গে কোনো ঝামেলা হবে ভেবে প্রাপ্য অংশটুকু ছেড়ে দেন। কিন্তু বোনেরা ইচ্ছা করলে তাঁদের অধিকারের জন্য আইনের আশ্রয় নিতে পারেন।বাংলাদেশের আইন কানুন
যদি জামিনের শর্ত ভঙ্গ করে বা আইনি লড়াই অপব্যবহার করে তবে আসামীর মোবাইল কোর্ট আইন জামিন বাতিল করে তাকে আবার জেল-হাজতে দন্ডবিধি প্রেরণ করবে আদালত আইনি পরামর্শ।
বোনদের সম্পত্তির অংশ বাংলাদেশের আইন
মুসলিম আইনে বাবা বা মা মারা গেলে মৃত ব্যক্তির যদি ছেলে এবং মেয়ে উভয়ই থাকে তাহলে রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে ছেলেরা যা পাবেন, মেয়ে বা মেয়েরা তার অর্ধেক পাবেন। অর্থাৎ ভাইয়েরা ইচ্ছা করলেই বোনদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে বোনের বিয়ে হোক বানা হোক, সেটি বিবেচ্য নয়। বোনদের বিয়ে হয়ে গেলেও বোনদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।
যদি সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা হয়: আইন কানুন
ভাই-বোনেরা আলোচনা করে নিজেদের মধ্যে আপস করে বণ্টননামা সম্পন্ন করে নিতে পারেন। এই বণ্টননামা রেজিস্ট্রি করে নিতে হবে। যদিআপসের মাধ্যমে ভাইয়েরা বোনদের সম্পত্তি দিতে না চানকিংবা বোনদের সম্পত্তি কম দিতে চান তাহলে বোনেরা দেওয়ানি আদালতের আশ্রয় নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে বঞ্চিত বোনেরা বাঁটোয়ারা বা বণ্টনের মোকাদ্দমা করতে পারেন। মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পত্তির ভাগ-বণ্টন নিয়ে উত্তরাধিকারীদের নিজেদের মধ্যে বনিবনা না হলে আদালতের মাধ্যমে এই ভাগ-বণ্টন দাবি করা যায়। একে বাঁটোয়ারা মামলা বলা হয়। কোনো যৌথ সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ দেখা দিলেও কে কতটুকু অংশ পাবেন তা আদালতের
যে ৬টি কারণে জামিন বাতিলআইনি জিজ্ঞাসা হয়-
১. যদি আসামী তদন্তে বাঁধা সৃস্টি করে আইনি সহায়তা
যদি আসামী আইনি প্রক্রিয়া বিদেশে চলে গেলে Bangladeshi LAW বা তাকে জামিনদারের মাধ্যমে না পাওয়া গেলে মাধ্যমেনির্ধারণের জন্য বাঁটোয়ারা মামলা করতে হয়। সাধারণত বিরোধ দেখা দেওয়ায় ছয় বছরের মধ্যে মামলা করতে হয়। এই মোকদ্দমা চলাকালে কেউ মারা গেলে তাঁদের উত্তরাধিকারীরা অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন এবং অংশ চাইতে পারেন। অর্থাৎ শুধুবোনেরা নন, বোনেরা মারা যাওয়ার পর তাঁর উত্তরাধিকারীরাও এই মামলায় পক্ষ হতে পারেন। এ মামলায় দুবার ডিক্রি হয়। প্রাথমিক ডিক্রি হওয়ার পরে বা আগে নিজেরা নির্ধারিত সময়ে আপস-মীমাংসা করে নেওয়ার সুযোগ আছে। প্রাথমিক ডিক্রির পর বণ্টন না করা হলে আদালত অ্যাডভোকেট কমিশনার নিয়োগ করে অংশ নির্ধারণ করে দিতে পারেন এবং চূড়ান্ত ডিক্রি প্রদান করেন